বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপ ঘনীভূত, চার বন্দরে ৩ নম্বর সতর্কতা

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি ঘনীভূত হয়ে ‘গভীর নিম্নচাপে’ পরিণত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এর প্রভাবে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে দমকা হাওয়া ও ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সকাল ১০টার দিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ ভোরে বঙ্গোপসাগরের ওপর অবস্থানরত একটি সুস্পষ্ট লঘুচাপ নিম্নচাপে রূপ নেয়। সকাল ৬টায় এটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪০৫ কিলোমিটার, কক্সবাজার থেকে ৩৯৫ কিলোমিটার, মোংলা থেকে ২৩০ কিলোমিটার এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ–পশ্চিমে অবস্থান করছিল। নিম্নচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর দিকে অগ্রসর হতে পারে।
আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ জানান, নিম্নচাপ কেন্দ্রের আশপাশে সাগর উত্তাল রয়েছে। এর প্রভাবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে, বিশেষ করে উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টি বাড়তে পারে এবং ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। আজ বৃহস্পতিবার সারাদিন এবং আগামীকাল শুক্রবারও বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে।
নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটার এলাকায় বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত এবং দমকা হাওয়ার গতিবেগও সমান রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। এর ফলে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সেগুলোকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
তবে আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, এই নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার সম্ভাবনা নেই। আবহাওয়া অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ বলেন, ‘‘এটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হলেও ঘূর্ণিঝড় হবে না। কিন্তু বৃষ্টিপাত ব্যাপক হতে পারে এবং উপকূলীয় অঞ্চলগুলোর জন্য এটি ঝুঁকিপূর্ণ।’’
বৃষ্টির পাশাপাশি নিম্নচাপের প্রভাবে নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি পেতে পারে। ফলে উপকূলীয় এলাকা ও নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতার আশঙ্কাও রয়েছে।