মেজর সিনহা হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন সাজা বহাল

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় দেওয়া মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ হাইকোর্টে বহাল রয়েছে। সোমবার (২ জুন) বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। এতে কক্সবাজারের টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও পরিদর্শক মো. লিয়াকত আলীর মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়। একইসঙ্গে ছয় আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডও বহাল রাখা হয়েছে।
আসামিদের আপিল খারিজ করে সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে এ রায় ঘোষণা করা হয়। আদালতের রায়ের সময় উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শামীমা দিপ্তী ও জসিম সরকার এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার সুমাইয়া আজিজ ও লাবনী আক্তার। আদালতে মেজর সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস ও কয়েকজন সাবেক সেনা কর্মকর্তাও উপস্থিত ছিলেন।
বহাল থাকা যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন— টেকনাফ থানার সাবেক এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল রুবেল শর্মা ও সাগর দেব, এবং বাহারছড়ার মো. নুরুল আমিন, মোহাম্মদ আইয়াজ ও মো. নিজাম উদ্দিন। প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও দিতে হবে।
২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ৯টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভে শামলাপুর তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা। ঘটনার পাঁচদিন পর তার বোন শারমিন আদালতে মামলা করেন। পরবর্তীতে র্যাব তদন্ত শেষে ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেয়। এতে ঘটনাকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ বলা হয়।
২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি জেলা জজ আদালত প্রদীপ ও লিয়াকতকে মৃত্যুদণ্ড এবং ছয়জনকে যাবজ্জীবন দেন। বাকি সাতজন খালাস পান। এরপর ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে এবং দণ্ডপ্রাপ্তরা আপিল করেন। সম্প্রতি সেই শুনানি শেষে আজ রায় ঘোষণা হয়।