এই উৎসব আমাকে নতুন এক জগতে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে

স্টার নিউজ : দুর্দান্ত এক সাফল্য, ইতিহাস গড়লেন, কী বলবেন?
এটা শুধু আমার ব্যক্তিগত প্রাপ্তি নয়, বরং বাংলাদেশের জন্য এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। প্রথমবার আমাদের দেশের কোনো ছবি কান ফেস্টিভালের অফিসিয়াল কমপিটিশনে জায়গা পেয়েছে এবং স্পেশাল মেনশন পেয়েছে — এটা প্রমাণ করে, আমাদের গল্পগুলোও বিশ্বকে নাড়া দিতে পারে। আমি কৃতজ্ঞ, গর্বিত, আর সত্যি বলি, এখনো বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে।
স্টার নিউজ : লোকে বলে বিয়ের পর কপাল খুলে, আপনার ক্ষেত্রেও কী সেটা হলো?
হা হা, একদম সত্য ! কেমন যেন একটার পর একটা দরজা খুলে যাচ্ছে আলহামদুলিল্লাহ
স্টার নিউজ : এত এত বাঘা বাঘা নির্মাতার ভিড়ে আলী ছবিটি জমা দিয়েছিলেন, কী প্রত্যাশা ছিল?
আমি জানতাম প্রতিযোগিতা কঠিন হবে। আলী এমন এক গল্প, যেটা খুব ব্যক্তিগত, আবার খুবই বৈশ্বিক। আমি শুধু চাইছিলাম বিচারকরা দেখে অনুভব করুক । অতটুকুই চাওয়া ছিলো
স্টার নিউজ : আলী সিনেমার তৈরি করার ক্ষেত্রে, কোন বিষয় আপনাকে আলোড়িত করেছে?
আমাকে সবচেয়ে বেশি নাড়া দিয়েছে, আমাদের সমাজে যারা নীরবে লড়াই করে, কিন্তু কখনোই তাদের কাহিনি বলা হয় না — তাদের হয়ে কিছু বলা। এই গল্পটা আসলে সেই অদৃশ্য মানুষের গল্প, যাদের আমরা প্রতিদিন পাশ কাটিয়ে যাই।
স্টার নিউজ : শ্যুটিংয়ের কোনো মজার কোনো স্মৃতি যদি শেয়ার করতে চান?
শুটিং মানেই যুদ্ধ । যুদ্ধের ময়দানে মজা হয়নাই এবার
স্টার নিউজ : কান উৎসবে স্পেশাল মেনশন পেয়েছে আপনার ছবি; এর বাইরে আর কী কী বিষয় উৎসব থেকে আপনার হলো, যা ভবিষ্যতে কাজে লাগবে?
এই উৎসব আমাকে নতুন এক জগতে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে। কেবল নামকরা পরিচালক বা প্রযোজক নয়, বরং যে ধরনের গল্পগুলো আজকের বিশ্বে গুরুত্ব পাচ্ছে — সেটা খুব স্পষ্টভাবে বুঝেছি এখানে এসে। এছাড়া, প্রচুর নতুন সম্পর্ক হয়েছে, কো-প্রোডাকশন, ভবিষ্যতের স্ক্রিপ্ট ডেভেলপমেন্ট— অনেক কিছুই মাথায় ঘুরছে এখন। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো, আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। এখন বুঝি আমাদের গল্প, আমাদের বাস্তবতা এগুলো দিয়েও বিশ্বমানের কিছু তৈরি সম্ভব।