শিরোনাম: কানে ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশের ‘আলী’।

কান শহর, সিনেমাপ্রেমীদের কাছে এক তীর্থ স্থানের নাম। প্রতি বছর কান চলচ্চিত্র উৎসবে নিজেদের ছবি নিয়ে যান, বিশ্বের বাঘা-বাঘা সব নির্মাতা। যেখানে বাংলাদেশ ছিল, শুধুই অংশগ্রহণের নাম। এবার সেই অচলায়তন ভেঙে দিলেন, নির্মাতা আদনান আল রাজীব।
স্বল্প দৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বিভাগে স্পেশাল মেনশন পেয়েছে, রাজীবের সিনেমা, আলী। এমন স্বীকৃতি বাংলাদেশের সিনেমার ইতিহাসে অনন্য এক ঘটনা। এই বিভাগের নির্দিষ্ট পুরস্কার না পেলেও, স্পেশাল মেনশন মূলত জুরিবোর্ড বা বিচারকদের পক্ষ থেকে বিশেষ সম্মাননা। যা নিয়মিত কোনো স্বীকৃতি নয়। এটি এমন ছবিকে দেয়া হয়, যাকে মূল পুরস্কার দিতে না পারলেও, বিচারকরা মনে করেন, সেই সিনেমাও পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য।
১৫ মিনিটের সিনেমা ‘আলী’। এক কিশোরকে কেন্দ্র করে ছবিটির গল্প আবর্তিত হয়েছে। বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় যার বাস, সেখানে নারীদের গান গাওয়ার অনুমতি নেই। দ্বৈতকন্ঠে গাইতে পারা আলী, এক প্রতিযোগিতায় নাম লেখান। এ জন্য চলে যান, শহরে। যে চরিত্রে অভিনয় করেছেন, আল আমিন।
কান উৎসবের প্রাণকেন্দ্র পালে দে ফেস্টিভ্যাল ভবনের গ্র্যান্ড থিয়েটার লুমিয়েরে গেল ২৪মে সন্ধ্যায় বসে সমাপনী আয়োজন। বাংলাদেশ সময় রাত ১০টা ৪০ মিনিটে ঘোষণা করা হয়, আলী সিনেমা নাম। অতিথি সারি থেকে নির্মাতা আদনান আল রাজীব উঠে দাঁড়ানোর সাথে সাথে, সবাই করতালি দিয়ে তাকে অভিনন্দন জানান। সুখবরটি শেয়ার করেন রাজীব নিজেই। ফেসবুক পোস্টে লেখেন, দিস ই্জ ফর বাংলাদেশ।
এরপর থেকে শুভেচ্ছায় ভাসছেন সিনেমার নির্মাতা, কলা-কুশলী ও অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। রাজীবকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, তার স্ত্রী অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। টিম আলীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন, সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীও।
৭৮তম কান চলচ্চিত্র উৎসবে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বিভাগে জমা পড়ে, ৪ হাজার ৭৮১টি সিনেমা। যার মধ্যে আলীসহ প্রতিযোগিতার জন্য নির্বাচিত হয় ১১টি। স্বর্ণপাম জেতে, ইসরায়েলের তৌফিক বারহোম পরিচালিত ‘আই অ্যাম গ্ল্যাড ইউ আর ডেড নাউ’।