শোলাকিয়ায় ১৯৮তম ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত

উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন ঈদগাহ কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় অনুষ্ঠিত হয়েছে ১৯৮তম ঈদুল আজহার জামাত। চার স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্য দিয়ে দেশের বৃহৎ এ ঈদ জামাতে অংশ নেন বিপুল সংখ্যক মুসল্লি। ঐতিহাসিক এ ঈদগাহে সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হয় ঈদের জামাত। এতে ইমামতি করেন মুফতি আবুল খায়ের মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ।
ঈদুল আজহায় জামাতকে ঘিরে নেয়া হয় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পুলিশ, র্যাব, বিজিবির পাশাপাশি সাদা পোশাকে মোতায়েন করা হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নিরাপত্তার স্বার্থে মাঠে আর্চওয়ে, ওয়াচ টাওয়ার, ড্রোন ক্যামেরা, ভিডিও ক্যামেরা, মাইনোকোলার, সিসি ক্যামেরাসহ সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল।
কিশোরগঞ্জ শহরের উপকণ্ঠে নরসুন্দা নদীর উত্তর তীরে অবস্থিত ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে এবার অনুষ্ঠিত হলো ঈদুল আজহার ১৯৮তম জামাত। দীর্ঘ আড়াইশ বছরের ঐতিহ্যে ঘেরা এ ঈদগাহে এবারও মুসল্লিদের ঢল নামে। ঈদের জামাতে অংশ নেন জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। জামাত শেষে মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে করা হয় বিশেষ মোনাজাত।
স্থানীয়রা জানান, ১৮২৮ সালে ইয়ামেন থেকে আগত সুফি সাধক শাহ সূফী সৈয়দ আহমেদের হাত ধরে শুরু হয় এই ঈদগাহ। প্রথম জামাতে উপস্থিত ছিলেন সোয়া লাখ মুসল্লি। সেখান থেকেই ‘সোয়া লাখিয়া’ নামটি ধীরে ধীরে ‘শোলাকিয়া’তে রূপ নেয়।