Search

Search

এক্সক্লুসিভ ব্রেকিং নিউজ পেতে আপনার মোবাইল নম্বরটি দিন

চিন্তা করবেন না, আমরা স্প্যাম করি না!

ব্যালেস্টিক মিসাইল কী ?

ইসরাইলে হামলার জন্য ব্যালেস্টিক মিসাইল ব্যবহার করেছে ইরান। আপনি কি জানেন এটি আসলে কী? না জানলে নিচের লেখাটি আপনার জন্য।

ব্যালেস্টিক মিসাইল ছোড়া হয় একটি প্রোজেক্টাইল থেকে। এই প্রজেক্টাইলটি মাটিতে বা কোন সামরিক ট্রাকের ওপর স্থাপিত হতে পারে। সাগরে সাবমেরিন থেকেও ছোড়া যায়। কামান যেভাবে গুলি ছোড়ে অনেকটা সেভাবে প্রোজেক্টাইল থেকে ছোড়া হয় ব্যালেস্টিক মি*সাইল। সাধারণত দূরের টার্গেটে আঘাত হানতে এটি ছোড়া হয়।

এখন পর্যন্ত যেসব দেশ ব্যালেস্টিক মি*সাইল তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে- যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ফ্রান্স, ব্রিটেন, চীন, উত্তর কোরিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, ভারত, পাকিস্তান, ইরান, ইসরাইল, মিসর, সিরিয়া, তুরস্ক, ইউক্রেন ও আর্জেন্টিনা।

একটি বল উপরে ছোড়ার পর সেটি আবার যেভাবে মাটিতে নেমে আসে, ব্যালেস্টিক মিসাইল ঠিক এই পদ্ধতি অনুসরণ করে বানানো হয়। এটির শক্তি যোগায় একটি রকেট ইঞ্জিন।

ব্যালেস্টিক মিসাইল ছোড়া হয় সোজা উপরে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের একেবারে উপরিভাগে। বায়ুমণ্ডল ছাড়িয়ে এটি উঠে যায় মহাশূন্যে তারপর অন্যান্য অংশ থেকে ওয়ারহেডটি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং মধ্যাকর্ষণ শক্তির টানে অসম্ভব দ্রুত গতিতে নেমে আসে ভূমিতে। এই ওয়ারহেডই হচ্ছে মিসাইলের মূল অংশ, অর্থাৎ বিস্ফোরক।

৩০ থেকে ৩৫ মিনিটের মধ্যে ১০ হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে এগুলো। বিশেষ করে আকাশ থেকে নিচে পড়ার সময় এটি অসম্ভব দ্রুত গতি পায়। দ্রুত গতির কারণে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের পক্ষে ব্যালেস্টিক মিসাইল প্রতিরোধ করা কঠিন। কোন কোন ব্যালেস্টিক মিসাইল প্রতি সেকন্ডে ৫ হাজার মাইল পর্যন্ত ছুটতে পারে। যে কারণে এটিকে বর্তমান সময়ের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর অস্ত্রগুলোর একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

অনেক ব্যালেস্টিক মিসাইলে এক সাথে অনেকগুলো ওয়ারহেডও থাকে, যা একই সাথে ভিন্ন ভিন্ন লক্ষ্যে আঘাত হানতে পারে। জিপিএস গাইডেন্স সিস্টেম না থাকায় এটি নির্ভূলভাবে টার্গেটে আঘাত হানতে পারে না। যে কারণে ব্যালেস্টিক মিসাইল ছোড়া হয় বড় কোন জায়গা লক্ষ্য করে। যেমন কোন শহর, বা সামরিক ঘাঁটি এমন কিছু। যাতে টার্গেটের আশপাশে আঘাত হানলেও ধ্বংস করতে পারে কাক্সিক্ষত বস্তু।

রেঞ্জের ওপর ভিত্তি করে ব্যালেস্টিক মিসাইল চার ধরনের হয়ে থাকে। স্মল রেঞ্জ ব্যালেস্টিক মিসাইল যার রেঞ্জ ৩০০ থেকে ১ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত। মিডিয়াম রেঞ্জ ব্যালেস্টিক মিসাইলের পাল্লা ১ হাজার থেকে সাড়ে ৩ হাজার কিলোমিটার। ইন্টার মিডিয়াম রেঞ্জ ব্যালেস্টিক মিসাইলের পাল্লা হয় সাড়ে ৩ হাজার থেকে সাড়ে ৫ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত। আর সবচেয়ে দূরপাল্লার ব্যালেস্টিক মিসাইলকে বলা হয়, আইসিবিএম বা ইন্টার কন্টিনেন্টাল ব্যালেস্টিক মিসাইল। আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রও বলা এটিকে।

এর পাল্লা হয় সাড়ে ৫ হাজার কিলোমিটার থেকে ২৫ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত। মূলত বিশ্বের যে কোন প্রান্তে আঘাত হানার লক্ষ্যেই আইসিবিএম তৈরি করা হয়। শত্রুর অবস্থান যত দূরেই হোক, সেখানে পারমাণবিক বোমা ফেলতে এই মিসাইল সবচেয়ে কার্যকর হাতিয়ার। যে কারণে উত্তর কোরিয়াও যুক্তরাষ্ট্রের ভূখণ্ডে আঘাত হানার হুমকি দিতে পারে।

প্রসঙ্গত, ক্রুজ মিসাইল ছোড়া হয় অল্প দূরত্বের টার্গেটে। এটি নিখুতভাবে আঘাত হানতে পারে। যেমন কোন ট্যাংক, গাড়ি বা কারো বেডরুম।

- আহমেদ বায়েজীদ


সম্পর্কিত খবর :

;