সিউ ২.০: এবার মঞ্চে রোনালদো জুনিয়র!

একটা বল জালে জড়ানো মানেই তো উৎসব, তাই না? কিন্তু যদি গোলদাতা হন রোনালদো জুনিয়র? তাহলে তো সেটা শুধু গোল না, পুরো এক মুহূর্ত!
ক্রোয়েশিয়ার মাটিতে চলছে লাতকো মারকোভিচ আন্তর্জাতিক অনূর্ধ্ব-১৫ টুর্নামেন্টের ফাইনাল। পর্তুগালের হয়ে মাঠে নামলেন ১৪ বছর বয়সী এক তরুণ। বল জালে পাঠালেন বাঁ পায়ে এক নিখুঁত শটে। কিন্তু আসল কাহিনি শুরু হলো এরপর দৌড় শুরু, চোখ কর্নার ফ্ল্যাগে। পেছনে সতীর্থ আসছে চিৎকার করে, কিন্তু জুনিয়র একহাতে ইশারা করে বললেন— "পেছনে থাকো ভাই, এটা আমার মঞ্চ!"
আর ঠিক তখনই ফুটবলদুনিয়া দেখল সেই দৃশ্য, যা দেখে চোখ বড় হয়ে গেল বহু ভক্তের— আকাশে লাফ, শরীর ঘুরিয়ে, দুই হাত পাশে ছড়িয়ে... "সিউউউউ!"
হ্যাঁ, ঠিক ধরেছেন। বাবার সেই বিখ্যাত 'সিউ' উদ্যাপনের স্টেজে নামলেন তাঁরই উত্তরসূরি। পর্তুগাল জাতীয় দলের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডলে তখনই ঝড় উঠল— "ক্রিস্টিয়ানো জুনিয়রের প্রথম সিউউউ!"
আর সোশ্যাল মিডিয়ায় তো রীতিমতো 'বাপ কা বেটা' উৎসব চলছে! একদিকে রোনালদো সিনিয়রের সেই কিংবদন্তি 'সিউ', আর অন্যদিকে জুনিয়রের নবাগত কিন্তু আত্মবিশ্বাসী রেপ্লিকা।
একটা নয়, ম্যাচে দুটো গোল! প্রথমটা ১৩তম মিনিটে, আর দ্বিতীয়টি ৫৪ মিনিটে। পর্তুগাল শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জিতল ৩-২ গোলে, আর ছোট রোনালদো হয়ে উঠলেন আসরের নায়ক।
বাবা যেখানে এখনও মাঠ কাঁপাচ্ছেন ৪০ বছর বয়সে, ছেলে সেখানে মাত্র ১৪তেই জাতীয় দলের জার্সিতে ঝলক দেখাচ্ছেন। রোনালদো জুনিয়র এই মাসেই পেয়েছেন পর্তুগাল অনূর্ধ্ব-১৫ দলে প্রথম ডাক। আর অভিষেক করলেন ১৩ মে, জাপানের বিরুদ্ধে বদলি হিসেবে নেমে।
ভবিষ্যতের একটা দিন হয়তো সত্যিই দেখে ফেলব— বাবা আর ছেলে একসঙ্গে মাঠে, একসঙ্গে ‘সিউ’! ফুটবল তখন শুধু খেলা নয়, এক মহাকাব্য।
তাই বলা যেতেই পারে, "লাইক ফাদার, লাইক সন!"