ইসরায়েলকে এআই সেবা দেওয়ার কথা স্বীকার করল মাইক্রোসফট

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রযুক্তি জায়ান্ট মাইক্রোসফট প্রথমবারের মতো স্বীকার করেছে যে, তারা ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ও ক্লাউড কম্পিউটিং সেবা দিয়েছে। তবে তারা দাবি করেছে, গাজায় চলমান গণহত্যায় তাদের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে—এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
মাইক্রোসফটের কর্পোরেট ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি ব্লগপোস্টে জানানো হয়, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে এজুর ক্লাউড প্ল্যাটফর্ম, এআই সেবা, ভাষা অনুবাদ প্রযুক্তি এবং সাইবার নিরাপত্তা সহায়তা দিয়েছে কোম্পানিটি। এছাড়াও, হামাসের হাতে জিম্মি হওয়া ২৫০-এর বেশি ইসরায়েলিকে উদ্ধারে জরুরি সহায়তা দিয়েছে তারা।
তবে ব্লগপোস্টে এটি স্পষ্ট করা হয়নি যে এই প্রযুক্তি কীভাবে ব্যবহার হয়েছে, বা কোনো নির্দিষ্ট ঘটনার সঙ্গে তা জড়িত কিনা। এপির অনুসন্ধানে জানা গেছে, হামাসের ৭ অক্টোবরের আক্রমণের পর ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী মাইক্রোসফটের এজুর ব্যবহার করে নজরদারির তথ্য বিশ্লেষণ, অনুবাদ ও লক্ষ্য নির্ধারণে এআই ব্যবহার করেছে।
মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণে সক্ষম এআই প্রযুক্তি যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহৃত হলে বহু নিরীহ মানুষের প্রাণহানি ঘটতে পারে। "No Azure for Apartheid" নামের অধিকার কর্মীরা মাইক্রোসফটের এ পদক্ষেপকে "ইমেজ ধোয়ামোছার পিআর স্টান্ট" বলেও আখ্যা দিয়েছে।
তবে মাইক্রোসফট জানিয়েছে, তারা একটি স্বাধীন সংস্থাকে দিয়ে বিষয়টি তদন্ত করিয়েছে, যদিও সেই সংস্থার নাম প্রকাশ করেনি। প্রযুক্তির এমন ব্যবহার ঘিরে আন্তর্জাতিক নীতিগত ও নৈতিক প্রশ্ন আরও জোরালো হচ্ছে।