ঝড়-বৃষ্টির সময় করণীয়

প্রকৃতি আল্লাহর সৃষ্টি ও তাঁর কুদরতের নিদর্শন। ঝড়-বৃষ্টি, বজ্রপাত কিংবা ভূমিকম্প সবই আল্লাহর ইচ্ছার বহিঃপ্রকাশ। কখনো এগুলো রহমত হিসেবে আসে, আবার কখনো শাস্তির নিদর্শন হিসেবেও দেখা দেয়। তাই ইসলাম ঝড়-বৃষ্টির সময় মানুষকে নির্ভরতা, ভীতির পরিবর্তে আল্লাহর স্মরণ ও করণীয় কিছু আমলের দিকে উৎসাহিত করে।
আল্লাহ তাআলা বলেন,“তিনিই তোমাদেরকে ভয়ের জন্য বিদ্যুৎ দেখান এবং তিনি মেঘমালা সৃষ্টি করেন যা বৃষ্টি বহন করে।” (সূরা রা’দ: ১২)
এই আয়াত থেকে বোঝা যায়, প্রকৃতির এই পরিবর্তন আল্লাহর কুদরতের চিহ্ন। এটি দেখে মুমিন বান্দা আল্লাহর প্রতি বিনয়াবনত হয় এবং তাঁর স্মরণে লিপ্ত হয়।
রাসুলুল্লাহ (সা.) ঝড়-বৃষ্টি শুরু হলে আল্লাহর কাছে দোয়া করতেন। তিনি বলতেন: “হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে এর কল্যাণ চাই, এবং এর মাধ্যমে যা পাঠানো হয়েছে, তার কল্যাণ চাই। আমি তোমার কাছে এর অনিষ্ট থেকে আশ্রয় চাই, এবং এর মাধ্যমে যা পাঠানো হয়েছে, তার অনিষ্ট থেকেও।” (মুসলিম)
বৃষ্টি শুরু হলে তিনি বলতেন: “হে আল্লাহ! এটি আমাদের ওপর কল্যাণকর করো।”* (বুখারি)
আরও একটি হাদীসে আছে, বৃষ্টির সময় দোয়া কবুল হয়। রাসুল (সা.) বলেন,
“দুটি দোয়া ফেরত দেওয়া হয় না: আজান শোনার সময় এবং বৃষ্টির সময়।” (আবু দাউদ)
অতএব ঝড়-বৃষ্টির সময় করণীয় আমলসমূহ:
১. আল্লাহর প্রশংসা ও তাসবিহ পাঠ করা।
২. ঝড় বা বজ্রপাত হলে ভয়ে চিৎকার না করে ধৈর্য রাখা।
৩. দোয়া ও ইস্তিগফার করা।
৪. গৃহে অবস্থান করে নিরাপত্তা গ্রহণ।
৫. অন্যদের নিরাপদে রাখতে সাহায্য করা।
ঝড়-বৃষ্টি আল্লাহর কুদরতের স্মারক। এ সময় মুমিনের উচিত আল্লাহর স্মরণ, দোয়া ও ইস্তিগফারের মাধ্যমে নিজেকে তাঁর নিকট সোপর্দ করা। ভয় নয়, বরং বিনয় ও ইবাদতের মাধ্যমে এই সময়কে বরকতে রূপান্তর করাই ইসলামের শিক্ষা।