Search

Search

এক্সক্লুসিভ ব্রেকিং নিউজ পেতে আপনার মোবাইল নম্বরটি দিন

চিন্তা করবেন না, আমরা স্প্যাম করি না!

কুরআন ও হাদীসের আলোকে ইসলামে শালীনতার গুরুত্ব

শালীনতা ও পর্দা ইসলামি আচার-আচরণের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি শুধু পোশাকে সীমাবদ্ধ নয়; কথাবার্তা, দৃষ্টিভঙ্গি, আচরণ ও সামাজিক সম্পর্কের প্রতিটি ক্ষেত্রেই শালীনতা পালনের নির্দেশ রয়েছে। ইসলাম মানুষের চরিত্র গঠনে ও সমাজে নৈতিকতা প্রতিষ্ঠায় শালীনতাকে অপরিহার্য করে তুলেছে।

আল্লাহ তাআলা সূরা আন-নূর-এ ইরশাদ করেন, “হে নবী! মুমিন পুরুষদের বলো, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখে এবং লজ্জাস্থানের হেফাজত করে। এটা তাদের জন্য অধিক পবিত্র...” (সূরা আন-নূর: ৩০)।

পরবর্তী আয়াতে আল্লাহ মুমিন নারীদেরকেও একই নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া, নারীদের জন্য শালীন পোশাক পরিধান ও পর্দা রক্ষার ব্যাপারে স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে (সূরা আহ্‌যাব: ৫৯)। এতে বোঝা যায়, শালীনতা ইসলামের মৌলিক নৈতিক নির্দেশনার অন্তর্ভুক্ত।

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, “প্রত্যেক ধর্মের একটি বিশেষ চরিত্র আছে এবং ইসলামের চরিত্র হচ্ছে ‘হায়া’ (লজ্জাশীলতা)।” (সহীহ ইবনু মাজাহ)। আরেক হাদীসে তিনি বলেন, “যার মধ্যে লজ্জাশীলতা নেই, তার ইমানও নেই।” (বুখারি ও মুসলিম)।

এই হাদীসগুলো থেকে বোঝা যায়, শালীনতা বা হায়া শুধু বাহ্যিক আচরণ নয়, বরং তা ইমানের একটি অঙ্গ। একজন মুমিন ব্যক্তি স্বভাবতই শালীন ভাষা, আচরণ ও পোশাকে অভ্যস্ত হবেন।

শালীনতা সমাজে নৈতিকতা, পারস্পরিক সম্মানবোধ ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। যখন মানুষ শালীনতা মেনে চলে, তখন সমাজে অশ্লীলতা ও অনৈতিকতা কমে যায়। নারী-পুরুষের মধ্যে সীমারেখা বজায় থাকে, পারিবারিক বন্ধন দৃঢ় হয় এবং সামাজিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকে।

ইসলামে শালীনতা শুধু একটি নৈতিক গুণ নয়, বরং এটি ইমানের পরিচয়। ব্যক্তি ও সমাজজীবনে শান্তি ও নৈতিকতা বজায় রাখতে হলে কুরআন ও সুন্নাহ অনুযায়ী শালীনতা রক্ষা অপরিহার্য। তাই একজন মুসলমানের উচিত বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ উভয় দিকেই শালীন আচরণ অবলম্বন করা।

সম্পর্কিত খবর :

;