বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্য অর্জন অত্যন্ত কঠিন : সিপিডি

২০২৫-২৬ অর্থবছরের যে বাজেট পেশ করা হয়েছে তাতে মূল্যস্ফীতি ৬.৫ শতাংশে কমিয়ে আনার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।এটি অর্জন করা কষ্টকর হবে বলে মন্তব্য করেছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। এছাড়া কালো টাকা বৈধ করার সুযোগকে ‘জুলাইয়ের চেতনা পরিপন্থী’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
আজ (৩ জুন) এক সংবাদ সম্মেলনে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট বিশ্লেষণ করতে গিয়ে সংস্থাটি এ মন্তব্য করে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষে গতকাল (২ জুন) উপস্থাপিত বাজেট পর্যালোচনা করে সিপিডি বলেছে, কালো টাকা সাদা করার ধারাবাহিক সুযোগ প্রকৃত করদাতাদের নিরুৎসাহিত করে এবং দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেয়।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, “এ ধরনের সুবিধা বারবার দেওয়া হলে করব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা কমে যায়। কর আইনের কঠোর প্রয়োগই হওয়া উচিত রাজস্ব বৃদ্ধির প্রধান উপায়।”
সিপিডি আরও উল্লেখ করে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যখন দুর্নীতি, অবৈধ আয় এবং অর্থ পাচার রোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে, তখন এ ধরনের সুযোগ জনমনে ভ্রান্ত বার্তা দিতে পারে।
তারা বলেন, “এটি জুলাইয়ের চেতনার পরিপন্থী।” উল্লেখ্য, গত বছর ছাত্র জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার উৎখাত হলে ৮ আগস্ট ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়। ওই আন্দোলনে প্রায় ১,৪০০ মানুষ নিহত হয়।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)-এর তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭২ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে প্রায় ৪৫,৫২২ কোটি টাকা সাদা করা হয়, যার বিপরীতে রাজস্ব আদায় হয় ৪,৬৪১ কোটি টাকা। ২০২০-২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ ২০,৬০০ কোটি টাকা বৈধ করা হয়, যেখানে কর আদায় হয় ২,০৬৪ কোটি টাকা।
ফাহমিদা খাতুন আরও বলেন, “যদি কোনো সরকার কালো টাকা বৈধ করার সুযোগ দিতে চায়, তাহলে তা এককালীন এবং কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত হওয়া উচিত।”