Search

Search

এক্সক্লুসিভ ব্রেকিং নিউজ পেতে আপনার মোবাইল নম্বরটি দিন

চিন্তা করবেন না, আমরা স্প্যাম করি না!

ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষ উপদেষ্টার পদ থেকে ইলন মাস্কের পদত্যাগ

ফেডারেল আমলাতন্ত্র কমানো এবং সরকার পুনর্গঠনের উদ্যোগের নেতৃত্ব দেওয়ার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শীর্ষ উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন ইলন মাস্ক। গতকাল বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ এক পোস্টে নিজের পদত্যাগের ঘোষণা দেন এই বিলিয়নিয়ার।

ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে ‘ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি’ বা ডিওজিই নামের একটি নতুন সংস্থার দায়িত্বে ছিলেন মাস্ক। এর লক্ষ্য ছিল সরকারি ব্যয় কমানো এবং প্রশাসনিক দক্ষতা বৃদ্ধি। তবে প্রশাসনের সঙ্গে ক্রমাগত বিরোধ এবং কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হওয়ায় মাস্ক শেষ পর্যন্ত দায়িত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন।

পদত্যাগের ঘোষণায় মাস্ক বলেন, “মার্কিন সরকারের একজন বিশেষ কর্মচারী হিসেবে আমার মেয়াদ শেষ হয়েছে। সরকারি অপচয় কমানোর সুযোগ দেওয়ায় আমি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানাই। আমি বিশ্বাস করি, সময়ের সঙ্গে ডিওজিই আরও কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।”

চলতি বছরের জানুয়ারিতে ট্রাম্পের আহ্বানে প্রশাসনে যোগ দেন মাস্ক। তখন তার প্রতিশ্রুতি ছিল কেন্দ্রীয় বাজেট থেকে অন্তত ১ ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয় হ্রাস করা। শুরুতে এই লক্ষ্যমাত্রা ২ ট্রিলিয়ন ডলার ছিল, পরে তা কমিয়ে আনা হয়। তবে চার মাসে তিনি মাত্র ১৭৫ বিলিয়ন ডলার ব্যয় হ্রাস করতে পেরেছেন—ডিওজিই ওয়েবসাইটে এমন তথ্যই প্রকাশ হয়েছে।

ওয়াশিংটনে এই দায়িত্ব পালনকালে হাজার হাজার সরকারি কর্মী ছাঁটাই, একাধিক সংস্থা বিলুপ্তি এবং বিভিন্ন আইনি ঝামেলার মধ্য দিয়ে যেতে হয় মাস্ককে। পরিস্থিতি এতটাই অস্থির ছিল যে তিনি মাঝে মধ্যেই ট্রাম্প প্রশাসনের অন্য শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।

টেসলা, স্পেসএক্সসহ নিজের ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডে মনোনিবেশ করার আগ্রহ প্রকাশ করে মাস্ক কয়েক সপ্তাহ ধরেই তার ভবিষ্যৎ নিয়ে ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন। তবে কখন তিনি ‘ডিওজিই’ থেকে সরে দাঁড়াবেন, তা নিশ্চিত ছিল না—যদিও শেষ পর্যন্ত এক্স-এ দেয়া পোস্টে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে জানিয়ে দেন, তিনি দায়িত্ব ছাড়ছেন।

পদত্যাগের একদিন আগে সিবিএস নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মাস্ক ট্রাম্পের ‘বড় সুন্দর বিল’ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছিলেন এবং আইনসভার কিছু বিষয়বস্তুর সমালোচনা করেন। এরপরই তার পদত্যাগের ঘোষণা আসে।

হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে মাস্কের পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে ট্রাম্প প্রশাসন জানিয়েছে, মাস্কের বিদায়ের পরও সরকারি কাঠামো পুনর্গঠন ও ব্যয় সংকোচনের কাজ অব্যাহত থাকবে।


সম্পর্কিত খবর :

;