Search

Search

এক্সক্লুসিভ ব্রেকিং নিউজ পেতে আপনার মোবাইল নম্বরটি দিন

চিন্তা করবেন না, আমরা স্প্যাম করি না!

কুরবানির পশুর চামড়ার চাহিদা কম, দামে হতাশ ব্যবসায়ীরা

কুরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহ করে বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। কম দামে ও বাকিতে বিক্রি করতে হচ্ছে মৌসুমি ব্যবসায়ী ও মাদরাসার প্রতিনিধিদের। অনেক ক্ষেত্রে দাম না পেয়ে বাধ্য হয়ে পশুর চামড়া ফেলে দিয়েছেন গৃহস্থ ও ব্যবসায়ীরা। এভাবে চললে চামড়া শিল্প ভয়াবহ সংকটের মুখে পড়ার আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের।

কুরবানির পশু জবাই করার পরেই শুরু হয়ে যায় চামড়া সংগ্রহের ব্যস্ততা। জেলা ও উপজেলার গৃহস্থ বাড়ি ও ঈদগাহ থেকে চামড়া সংগ্রহ করেন মৌসুমি ব্যবসায়ী এবং মাদরাসার প্রতিনিধিরা। এসব চামড়া বিক্রি করেন পেশাদার ব্যবসায়ী ও ট্যানারি মালিকদের প্রতিনিধির কাছে।

এবার বাগেরহাটের মৌসুমি ব্যবসায়ী ও মাদরাসার প্রতিনিধিরা চামড়া সংগ্রহ করলেও, পেশাদার ব্যবসায়ী ও ট্যানারি মালিকদের প্রতিনিধিরা চামড়া কিনতে আসেননি। ফলে অনেক মাদরাসা বাকিতে ট্যানারিতে চামড়া পাঠিয়েছেন। আবার কেউ কেউ চামড়া ফেলেও দিয়েছেন। যা বিক্রি হয়েছে তাও অনেক কম দামে। এক সময় গরুর চামড়া ২ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হলেও, এবছর ৩শ থেকে ৭শ টাকা বিক্রি হয়েছে। আর ৩শ থেকে ৫শ টাকায় বিক্রি হওয়া ছাগলের চামড়া এবার কেনেননি ব্যবসায়ীরা। ফলে ছাগলের চামড়া ফেলে দিতে হয়েছে। দাম কমে যাওয়া ও কুরবানির মৌসুমি ব্যবসায়ীক সিন্ডিকেটের কারণে লোকসান গুনতে হচ্ছে মৌসুমি ব্যবসায়ী এবং মাদরাসার প্রতিনিধিদের।

এদিকে বাগেরহাটের একমাত্র পেশাদার চামড়া ব্যবসায়ী আব্দুস সালাম গেল বছর ৫ হাজার চামড়া কিনলেও, এবছর কিনেছেন ২ হাজারের কম। অনেক যাচাই-বাছাই করে ক্রয় করা এসব চামড়া বিক্রি করতে পারবেন কিনা তা নিয়েও তার শঙ্কা রয়েছে। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা না পেলে চামড়া শিল্প হারিয়ে যাবে বলে দাবি এই ব্যবসায়ীর।

বিভিন্ন মাদরাসার শিক্ষকদের সিন্ডিকেট করে কৌশলে দাম কমানো হচ্ছে। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত কোন ক্রেতা না পাওয়ায় বেশিরভাগ মাদসারা বাকিতে খুলনার একটি প্রতিষ্ঠানকে চামড়া পৌঁছে দিয়েছেন বলে জানান বাগেরহাট জেলা ইমাম সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও মাদরাসা-ই তালিমুল কুরআন মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা মুহাম্মদ উল্লাহ আরেফী।

এদিকে এবারই প্রথম চামড়া সংরক্ষনে মাদরাসা কর্তৃপক্ষকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে লবন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। ফলে কান চামড়া নষ্ট হয়নি। তবে দাম আরও বেশি হওয়া উচিত ছিল বলে মনে করেন বাগেরহাট জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোহাম্মদ ছাহেব আলী।

বাগেরহাটে এবার প্রায় ৯০ হাজার পশু কুরবানি করা হয়েছে। এরমধ্যে ৩৫ হাজারের বেশি গরু, ৫৩ হাজার ছাগল, ২ হাজার ভেড়া রয়েছে। তবে ছাগল ও ভেড়ার চামড়া সংগ্রহ করলেও বিক্রি করতে পারেননি ব্যবসায়ীরা।

সম্পর্কিত খবর :

;