Search

Search

এক্সক্লুসিভ ব্রেকিং নিউজ পেতে আপনার মোবাইল নম্বরটি দিন

চিন্তা করবেন না, আমরা স্প্যাম করি না!

মোংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেলের তীরে ভাঙন, নদীগর্ভে বিলীন ২ কিলোমিটার সড়ক

বাগেরহাটে অব্যাহত ভাঙনের মুখে পড়েছে মোংলা-ঘষিয়াখালী নৌ চ্যানেল সংলগ্ন রামপাল উপজেলার রোমজাইপুরসহ অন্তত চারটি গ্রাম। এরইমধ্যে নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে নদী তীরবর্তী ওই গ্রামের কয়েক‘শ ঘরবাড়ী ও দুই কিলোমিটার গ্রামীন সড়ক। ভাঙন ঠেকাতে বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য বারবার আবেদন করলেও কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা না নেওয়ায় এখন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন নদী পাড়ের মানুষ।

বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার পেড়িখালি ইউনিয়নের রোমজাইপুর গ্রামের তিন পাশে দিয়ে বয়ে গেছে আন্তর্জাতিক নৌ চ্যানেল মোংলা-ঘষিয়াখালী নদী। কয়েক বছর ধরে তীরের ভাঙনে ইতোমধ্যে শতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। নতুন করে আবারও ভাঙন শুরু হয়েছে। এবারের ভাঙনে ফসলি জমিসহ পেড়িখালি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে রোমজাইপুর সড়কের বিভিন্ন স্থান ধ্বসে গেছে। নদীতে বিলীন হয়েছে প্রায় দুই কিলোমিটার সড়ক। এতে চরম দূর্ভোগে পড়েছেন এলাকাবাসী। বারবার সড়ক সংস্কারে বিভিন্ন স্থানে ধ্বর্না দিয়ে কাজ না হওয়ায় স্থানীয় ভ্যান ও অটোচালকরা স্বেচ্ছাশ্রমে সড়ক চলাচলের উপযোগী রাখার চেষ্টা করছেন।

এদিকে নদী ভাঙনরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে রোমজাইপুর পূর্ব পাড়া ঘোষিয়াখালি নদীর তীরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন স্থানীয়রা। "এখনই টেকসই বেড়িবাঁধ চাই", "জীবনের বিনিময়ে বাঁধ চাই", "আমাকে বিক্রি করুন, তবু বেড়িবাঁধ দিন" এমন প্ল্যাকার্ড নিয়ে পাঁচ শতাধিক ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তি মানববন্ধনে অংশগ্রহন করেন। এসময় তারা বাঁধ নির্মানের দাবি তোলেন। মানববন্ধনকারীরা অভিযোগ করেন বারবার পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে বাঁধ নির্মাণের আবেদন করা হলেও, কোন ব্যবস্থা নেয়নি তারা। শুধু রোমজাইপুর গ্রাম নয় জেলার রামপাল, মোরেলগঞ্জ, সদর ও মোংলাসহ ৫ উপজেলায় ১২ কিলোমিটারের অধিক নদী ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন তারা নদী ভাঙনরোধে ব্যবস্থা নিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী কুমার স্বস্তিক বলেন, ঈদের পরে ভাঙনরোধে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।




সম্পর্কিত খবর :

;