Search

Search

এক্সক্লুসিভ ব্রেকিং নিউজ পেতে আপনার মোবাইল নম্বরটি দিন

চিন্তা করবেন না, আমরা স্প্যাম করি না!

পাহাড়ি ঢলে আখাউড়ায় সীমান্তবর্তী কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা বর্ষণের ফলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর এলাকার আশপাশের সীমান্তবর্তী কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

আজ রোববার (১ জুন) সকালে সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে, স্থলবন্দরের পাশ দিয়ে বয়ে চলা কলন্দি খাল, কালিকাপুর হয়ে আব্দুল্লাপুর দিয়ে জাজি গাং, বাউতলা দিয়ে মরা গাং এবং মোগড়া ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হাওড়া নদীর পানির প্রবাহ অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে ওইসব গ্রামের রাস্তাঘাট ও জমি পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে।

বন্যার পানিতে উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের কালিকাপুর, বীরচন্দ্রপুর, আব্দুল্লাপুর ও বঙ্গেরচর গ্রামের জমি ও যোগাযোগব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত রাত থেকে নদী ও খালগুলো দিয়ে দ্রুত গতিতে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে, ফলে এসব গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে।

আখাউড়া স্থলবন্দরের মৎস্য রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক মিয়া বলেন, “রাত থেকে পানি ঢুকছে। বন্দরের আশপাশের এলাকা ইতোমধ্যে পানিতে তলিয়ে গেছে। যদিও এখন পর্যন্ত রপ্তানি কার্যক্রমে কোনো প্রভাব পড়েনি। তবে পানি যেভাবে বাড়ছে, তাতে আখাউড়া-আগরতলা সড়ক তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে দুই দেশের মধ্যে চলমান বাণিজ্য কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।”

এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনজুর রহমান জানান, “হাওড়া নদীর পানি বর্তমানে স্বাভাবিকের তুলনায় ৩০ থেকে ৪০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে এটি এখনো বিপদসীমা অতিক্রম করেনি; বিপদসীমার চেয়ে এখনও প্রায় ২ মিটার নিচে রয়েছে।”

উল্লেখ্য, গত বছরের আগস্ট মাসে উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে হাওড়া নদীর বাঁধ ভেঙে আখাউড়া উপজেলার প্রায় ৩৬টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছিল। সে সময় প্রায় ৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। এতে ১৯৫ হেক্টর ফসলি জমি এবং প্রায় ১২ কোটি টাকার মৎস্য সম্পদের ক্ষতি হয়।

সম্পর্কিত খবর :

;