নাটোরে ঘর-বাড়ির আগুনে পুড়ে দগ্ধ দম্পতি

নাটোরের নলডাঙ্গায় বাড়িতে লাগা আগুনে বাবু মন্ডল (৩৮) ও কোহিনুর বেগম (৩২) নামে এক দম্পতি দগ্ধ হয়েছেন। আগুনে ঘরের আসবাবপত্র, কৃষিপণ্য ও নয়টি ছাগল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। শনিবার রাত ১টার দিকে নলডাঙ্গার পিপরুল ইউপির ছান্দাবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন, নলডাঙ্গার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রেদুয়ানুল হালিম। তিনি জানান, আহত বাবু মন্ডলকে নাটোর সদর হাসপাতালে এবং কোহিনুর বেগমকে রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত বাবু মন্ডল নলডাঙ্গার ছান্দাবাড়ি এলাকার প্রয়াত মেছের আলীর ছেলে। পেশায় তিনি কৃষিক।
নলডাঙ্গার ফায়ার সার্ভিস ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাত ১ টার দিকে কৃষক বাবু মন্ডলের বাড়িতে আগুন লাগলে স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। দ্রুত ছড়িয়ে পড়া আগুন দমকল বাহিনীর সদস্যরা প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আনেন। আগুনে চারটি ঘর, নয়টি ছাগল, নগদ তিন লাখ টাকা, ফ্রিজ, চাল, গম, ভুট্টাসহ ঘরের সমস্ত আসবাবপত্র ও মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এসময় দু্ই শিশু সন্তান রক্ষা পেলেও দগ্ধ হন বাবু মন্ডল ও তার স্ত্রী। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা, আহত বাবু মন্ডল ও তার স্ত্রী কোহিনুর বেগমকে উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য কোহিনুর বেগমকে রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নলডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ইনচার্জ হাবিবুর রহমান বলেন, ঘরবাড়ি পুড়ে দেড় লাখ টাকার মত ক্ষতি হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা বলছেন আমাদের নগদ টাকা ছিল। কিন্তু আমরা কোনো পোড়া টাকা পাইনি। স্থানীয়রা বলছেন, বিদ্যুৎ থেকেই আগুন লাগতে পারে। খবর পাওয়ার পর প্রায় নয় কিলোমিটার দূরের ওই ঘটনাস্থলে, যেতে যেতেই সব পুড়ে গেছে।
নাটোর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক কর্মকর্তা আরশেদ আলী সাংবাদিকদের বলেন, অগ্নিদগ্ধ কোহিনূর বেগমের শরীরের প্রায় ৯৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাই আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাবু মন্ডলের হাতের সামান্য অংশ পুড়েছে।
এ ঘটনায় নলডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রেদুয়ানুল হালিম বলেন, অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে আমি ক্ষতিগ্রস্থ বাড়িটি পরিদর্শন করেছি। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারটিকে নগদ অর্থ, চাল ও ঢেউটিন সহযোগিতা করা হচ্ছে।