Search

Search

এক্সক্লুসিভ ব্রেকিং নিউজ পেতে আপনার মোবাইল নম্বরটি দিন

চিন্তা করবেন না, আমরা স্প্যাম করি না!

তিন মাসের জন্য বন্ধ সুন্দরবন, প্রাণ-প্রকৃতিতে ফিরবে সজীবতা

মাছ ও বন্যপ্রাণীর প্রজনন এবং অবাধ বিচরণের সুযোগ করে দিতে বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনে টানা তিন মাসের জন্য দর্শনার্থী ও বনজীবীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বন বিভাগ। আজ ১ জুন থেকে শুরু হওয়া এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত।

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. রেজাউল করীম চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “এই সময় স্বাভাবিকের তুলনায় টহল বাড়ানো হবে। নিষেধাজ্ঞা সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে পারলে সুন্দরবনের প্রাণিকূল ও মৎস্য ভাণ্ডার সমৃদ্ধ হবে। সুন্দরবনের পরিবেশে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরবে, বাড়বে জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য।”

বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ এই বনে রয়েল বেঙ্গল টাইগার, চিত্রল হরিণ, বানর, কুমির, গুইসাপসহ ২৮৯ প্রজাতির স্থলজ প্রাণী, ২১৯ প্রজাতির জলজ প্রাণী এবং ২৯০ প্রজাতির পাখি রয়েছে। এর মধ্যে অনেক প্রজাতিই এখন হুমকির মুখে। বনজীবীদের কার্যক্রম, চোরা শিকার ও পর্যটকদের অতিরিক্ত ভিড়ে এসব প্রাণ-প্রকৃতির অস্তিত্ব হুমকির মুখে।

সুন্দরবনের নদী-নালায় থাকা বেশিরভাগ মাছ ও জলজ প্রাণীর প্রজনন মৌসুম জুন-জুলাই। এসময় মাছ ও অন্যান্য প্রাণীর অবাধ চলাচল ও বংশবৃদ্ধির পরিবেশ সুরক্ষিত রাখতেই এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

তবে স্থানীয়রা বলছেন, নিষেধাজ্ঞা কেবল কাগজে-কলমে নয়, বাস্তবে কার্যকর হওয়া জরুরি। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সদস্য মো. নূর আলম শেখ বলেন, “নিষেধাজ্ঞার সময় বন বিভাগের কিছু অসাধু সদস্যের সহায়তায় জেলেরা বনে প্রবেশ করে মাছ ধরে। এসব বন্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও সক্রিয় থাকতে হবে।”

উল্লেখ্য, ২০১৯ সাল থেকে ইন্টিগ্রেটেড রিসোর্সেস ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান (আইআরএমপি) অনুযায়ী জুলাই-আগস্ট পর্যন্ত সুন্দরবন বন্ধ থাকত। ২০২২ সালে তা পরিবর্তন করে ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করা হয়। এসময় ক্ষতিগ্রস্ত জেলেদের জন্য মৎস্য অধিদপ্তর থেকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়।


সম্পর্কিত খবর :

;