৪ বছরের শিশু হত্যার পর লাশ সেপ্টিক ট্যাংকে, ৬দিন পর উদ্ধার

জয়পুরহাটের কালাই উপজেলায় রুহি নামে ৪ বছরের এক শিশুকে হত্যা করে মরদেহ বাড়ির টয়লেটের সেপ্টিক ট্যাংকে ফেলে রাখার ঘটনা ঘটেছে। ছয় দিন নিখোঁজ থাকার পর গত শুক্রবার রাত ১১টার দিকে পুলিশ শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে। হত্যায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে, যারা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার দায় স্বীকার করেছে।
নিহত রুহি কালাই উপজেলার হিমাইল গ্রামের আব্দুর রহমানের প্রথম স্ত্রীর কন্যা। তার মা বাবার বাড়িতে বসবাস করেন এবং রুহি সেখানেই থাকত। তবে প্রায় প্রতিদিনই সে তার দাদির সঙ্গে দেখা করতে বাবার বাড়িতে যেত। গত ২৪ মে সকালে রুহি দাদির সঙ্গে দেখা করতে বাবার বাড়িতে গিয়ে আর ফিরে আসেনি।
রুহির মা সন্ধ্যা পর্যন্ত মেয়েকে ফিরে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। এরপর ২৫ মে রুহির বাবা কালাই থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পুলিশের তদন্তে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করা হয় রুহির সৎমার বাবা জিয়া কসাইকে। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকার করেন যে, তার মেয়ে সোনিয়া আক্তার (রুহির সৎমা), রুহির চাচা রনি মিলে রুহিকে হত্যা করে বাড়ির টয়লেটের সেপ্টিক ট্যাংকে ফেলে দিয়েছে।
কালাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহিদ হোসেন বলেন, “আমরা তিনজনকে আটক করেছি। তারা হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছে। শিশুটির মা বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।”