রাঙামাটিতে জমজমাট মৌসুমী ফলের বেচাকেনা

রাঙামাটির হাটবাজারগুলোতে এখন মৌসুমী নানান ফলে ভরপুর। আম, কাঁঠাল, লিচু, আনারসে গন্ধে চারদিকে ম ম করছে। কীটনাশক মুক্ত হওয়ায় দেশের বিভিন্ন জায়গায় রাঙামাটির মৌসুমী ফলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ভালো ফলনে হাসি ফুটেছে চাষীদের মুখে, তবে দাম নিয়ে আছে হতাশাও।
স্থানীয়রা জানান, ভোর হতেই রাঙামাটির বনরূপার সমতাঘাটে ভিড়তে শুরু করে একের পর এক ইঞ্জিনচালিত নৌকা। বিভিন্ন ধরনের মৌসুমী ফলমূল নিয়ে সমতাঘাটে জমতে শুরু করে ভাসমান মৌসুমী ফলের হাট। নৌকাগুলো নানান মৌসুমী ফলমূলে ভরা থাকে। আশপাশের পাহাড়ি এলাকা থেকে এসব ফলমূল ইঞ্জিনচালিত নৌকায় সমতাঘাটে নিয়ে আসেন বিক্রেতারা। আর ঘাটে তরী ভিড়তেই পাইকারদের দরদামে বিকিকিনির পর্ব শুরু হয়। দরাদরি শেষে নৌকার পণ্য ঠাঁই হয় ট্রাকে, আর সেই ট্রাক চলে যায় চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায়।
জেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এবার জেলায় ৩ হাজার ৬২৮ হেক্টর জমিতে আম, ৩ হাজার ৩৭৩ হেক্টর জমিতে কাঁঠাল, ১৯ হাজার ৩ হেক্টর জমিতে লিচু ও ২ হাজার ৫৩৭ হেক্টর জমিতে আনারস চাষ হয়েছে।
ভাসমান হাটের নৌকাগুলোর মধ্যে বর্তমানে বেশিরভাগ দখল করে আছে জাতীয় ফল কাঁঠাল। রয়েছে আমও। চাষীরা জানালেন, এবছর কাঁঠাল ভালো উৎপাদন হলেও বাজারে দাম একেবারেই নেই বললেই চলে। পাইকাররা কাঁঠাল ২০-২৫ টাকার ওপর দাম তুলছেই না। এই দামে কাঁঠাল বিক্রি করে শ্রমিক ও পরিবহন খরচই উঠছে না। অন্যদিকে প্রাকৃতিক কারণে আম ও লিচুর ফলন এবার কম হয়েছে বলে জানালেন চাষী। এতে দাম বাড়তির কথা জানালেন পাইকাররা।
জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো.মনিরুজ্জামান বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার লিচু ও আমের ফলন কম। তবে একাধিকবার বৃষ্টি হওয়ায় ফলের মান ভালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি জানান, এই বছর আম, কাঁঠাল, লিচু ও আনারস চার মৌসুমি ফলের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ১০ হাজার ৭৭০ মেট্রিক টন।