ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে তৃতীয় দিনেও সংঘর্ষ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে তৃতীয় দিনের মত দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে মিয়াজুল হোসেন (৪৫) নামে একজন নিহত হয়েছেন। উভয়পক্ষের অন্তত ১৫জন আহত হয়েছেন। এছাড়া বাড়িঘরে আগুন দেওয়া ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত সদর উপজেলার নাটাই এলাকায় ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটে। বাড়ীঘর ছেড়ে অনেকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাচ্ছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোজাফফর হোসেন জানান, দীর্ঘদিনের গোষ্ঠিগত দ্বন্ধের জের ধরে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রেণে সেনাবাহিনীর সহায়তা নেয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানায়, ছলিমের বাড়ির শহিদ মিয়ার ছেলে চান্দের বাড়িতে বসে গত সোমবার রাতে কয়েকজনকে নিয়ে মাদক সেবন করছিল। এসময় চান্দের বাড়ির লোকজন তাতে বাধা দিলে এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে সোমবার রাতেই দুই গোষ্ঠীর লোকজনের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সকালে চান্দের বাড়ি ও ছলিম বাড়ির লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আবারও সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষ চলাকালে উভয়পক্ষের ১০/১২টি বাড়ি ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ১০ জন আহত হয়।
এরই জের ধরে বুধবার বিকেলে ফের সংঘর্ষ জড়ায় দুই গোষ্ঠীর লোকজন। এ সময় টেটা, বল্লমসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে ব্যাপক ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলে। সংঘর্ষ চলাকালে ১০/১২ টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে পুরো গ্রামে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে চান্দের বাড়ির মিয়াজুল নামে একজন গুরুতর আহত হলে তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।