Search

Search

এক্সক্লুসিভ ব্রেকিং নিউজ পেতে আপনার মোবাইল নম্বরটি দিন

চিন্তা করবেন না, আমরা স্প্যাম করি না!

বিদায়বেলায় জেমি ভার্ডির ২০০তম গোল

কিং পাওয়ার স্টেডিয়ামে আবেগে ভেসে যাওয়া এক বিকেলে লেস্টার সিটির কিংবদন্তি জেমি ভার্ডি শেষবারের মতো ক্লাবের জার্সি গায়ে জড়িয়ে মাঠে নামলেন। ৫০০তম ম্যাচে করলেন নিজের ২০০তম গোল, ইপসউইচের বিপক্ষে ২-০ গোলের জয়ে শেষ হলো লেস্টারের সঙ্গে তার ১৩ বছরের গৌরবময় অধ্যায়।

১৮ মে তারিখটি ভার্ডির জন্য আগেও ছিল একটি বিশেষ দিন। ২০১২ সালে ঠিক এই দিনে ফ্লিটউড টাউন থেকে লেস্টারে এসেছিলেন তিনি। এবার সেই একই দিনে নিজের ক্যারিয়ারের শেষ অধ্যায়ে লিখে গেলেন স্মরণীয় এক পংক্তি।

২৮তম মিনিটে আসে সেই মুহূর্ত। জেমস জাস্টিনের নিখুঁত পাসে ডিফেন্স ভেঙে ঢুকে পড়েন ভার্ডি, আর ঠাণ্ডা মাথায় বল জালে পাঠান ইপসউইচ গোলরক্ষক অ্যালেক্স পামারের পাশ দিয়ে। গোটা স্টেডিয়াম তখন দাঁড়িয়ে, হাততালিতে কাঁপছে চারপাশ।

ইপসউইচ শুরুতে দাপট দেখালেও, ভার্ডির গোলেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় লেস্টার। দ্বিতীয়ার্ধে তরুণ ম্যাকাটিয়ার করেন দ্বিতীয় গোল, নিশ্চিত হয় জয়।

যদিও লেস্টারের চ্যাম্পিয়নশিপে নেমে যাওয়া আগেই নিশ্চিত হয়েছে, তবু এই দিনটি ছিল অন্য যে কোনো দিন থেকে একটু আলাদা। ক্লাবের ইতিহাস বদলে দেওয়া মানুষটিকে বিদায় ও সম্মান জানানোর জন্য এর চেয়ে ভালো মুহূর্ত যেনো বেছে নেওয়া কঠিন।

২০১৬ সালে অসম্ভবকে সম্ভব করে লেস্টারকে এনে দিয়েছিলেন প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা। তার হাত ধরেই এসেছে এফএ কাপ, কমিউনিটি শিল্ড ও দুটি চ্যাম্পিয়নশিপ খেতাব।

ম্যাচ শেষে স্ত্রী ও সন্তানদের সঙ্গে মাঠে আসেন ভার্ডি। ক্লাবের পক্ষ থেকে তাকে দেওয়া হয় সোনার ফক্স ট্রফি, ক্যারিয়ারভিত্তিক একটি বিশেষ ফটোবুক এবং চমক হিসেবে ২০২৪-২৫ মৌসুমের ‘প্লেয়ার অব দ্য সিজন’ পুরস্কার।

বিদায়বার্তায় ভার্ডি বলেন, “হৃদয়ের গভীর থেকে ধন্যবাদ। আমাকে আর আমার পরিবারকে আপন করে নেওয়ার জন্য কৃতজ্ঞ। আশা করি, তার কিছুটা হলেও প্রতিদান দিতে পেরেছি।”

লেস্টারের এই যাত্রা যদি শেষও হয়, জেমি ভার্ডির নামটা চিরকাল বেঁচে থাকবে কিং পাওারের প্রতিটি কোণায়।

সম্পর্কিত খবর :

;