আস্থা ভোটের পক্ষে বিএনপি ও এনসিপি

সংসদ সদস্যদের জন্য সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে আস্থা ভোটের বিধান যুক্ত করার পক্ষে মত দিয়েছে বিএনপি, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)সহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল। তাদের মতে, সরকারের স্থায়িত্ব ও জবাবদিহিতার জন্য এই বিধান প্রয়োজন। তবে বিষয়টি নিয়ে আরও আলোচনা দরকার বলেও মত দিয়েছে কয়েকটি দল।
আজ মঙ্গলবার (৩ জুন) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের উদ্যোগে আয়োজিত দ্বিতীয় দফার বিষয়ভিত্তিক আলোচনায় এই প্রস্তাব উঠে আসে। রাজনৈতিক সংস্কার নিয়ে চলমান আলোচনার ভিত্তিতে আগামী জুলাই মাসে একটি ‘জুলাই সনদ’ প্রকাশের প্রস্তুতি নিচ্ছে কমিশন।
আলোচনায় প্রধান বিষয় ছিল সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ, সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন, সংসদীয় স্থায়ী কমিটির নেতৃত্ব, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ ও দায়িত্বসীমা। আলোচনায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “আস্থা ভোট ছাড়া সরকার স্থায়িত্ব হারাবে। বারবার সরকার বদল রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি করবে। তাই ৭০ অনুচ্ছেদে আস্থা ভোটের বিধান যুক্ত করতে হবে।” তিনি আরও বলেন, অর্থবিল ও সংবিধান সংশোধন ছাড়া অন্যান্য বিষয়ে সংসদ সদস্যদের মত প্রকাশে স্বাধীনতা থাকা উচিত।
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, “সংসদ সদস্যদের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হলে অর্থবিলের পাশাপাশি আস্থা ভোটও থাকতে হবে। এতে সরকারের জবাবদিহিতা ও স্থিতিশীলতা দুই-ই নিশ্চিত হবে।”
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, “আস্থা ভোটের বিধান ছাড়া প্রধানমন্ত্রী চ্যালেঞ্জবিহীন থাকবেন। এতে গণতান্ত্রিক ভারসাম্য নষ্ট হয়। আলোচনার মাধ্যমে একটি গ্রহণযোগ্য পথ খুঁজে বের করতে হবে।”
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, “চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আরও একবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা হবে।”
আলোচনায় অংশ নেয় ৩০টি রাজনৈতিক দল, এর মধ্যে বিএনপি, এনসিপি, গণসংহতি আন্দোলন, নাগরিক ঐক্য, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম, জাসদ, গণ অধিকার পরিষদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, সিপিবি ও এলডিপি অন্যতম। এসব দল সংবিধান সংস্কারসহ গণতান্ত্রিক রূপান্তরের জন্য একটি জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানায়।