খান ইউনুসে ইসরায়েলি সামরিক অভিযান তীব্র, দ্রুত সরে যাওয়ার আদেশ জারি

গাজা উপত্যকার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খান ইউনুস থেকে বেসামরিক জনগণকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির নতুন আদেশ জারি করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। মাত্র ৩০ মিনিট সময় দিয়ে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী নতুন করে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির নির্দেশ দিয়েছে গাজার খান ইউনুস শহরের বাসিন্দাদের জন্য। বিশেষ করে শহরের পূর্বাঞ্চলের আবাসান ও বনি সুহেইলা এলাকায় বসবাসকারীদের উদ্দেশ্যে এ আদেশ দেওয়া হয়েছে।
ইসরায়েলি বাহিনী এবার অত্যন্ত স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছে, এই শহরে “অকল্পনীয়” হামলা চালানো হবে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এটি একটি পূর্ণাঙ্গ সামরিক অভিযান শুরুর ইঙ্গিত দেয়।
এদিকে বহু পরিবার চরম আতঙ্ক ও বিশৃঙ্খলার মধ্যে রয়েছে। তারা যতটুকু সম্ভব জিনিসপত্র গুছিয়ে শহর ছেড়ে আল-মাওয়াসি এলাকায় যাওয়ার চেষ্টা করছে, যেখানে ইসরায়েলি বাহিনী তাদের যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। তবে এরপরও প্রবল শঙ্কা বিরাজ করছে, কারণ গত এক ঘণ্টার মধ্যে আল-মাওয়াসির একটি অস্থায়ী তাবুতে বিমান হামলা চালানো হয়েছে। চিকিৎসা সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, এ হামলায় অন্তত দুইজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হন।
বারবার সরিয়ে নেওয়ার আদেশে ফিলিস্তিনিদের মধ্যে নিরাপত্তার যে সামান্য ধারণা ছিল, তাও ভেঙে পড়েছে। ইসরায়েলি স্থল অভিযান এখন স্পষ্টভাবে জনবহুল এলাকাগুলো পর্যন্ত বিস্তৃত হচ্ছে। এই পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা বাড়িয়ে তুলেছে।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজার বিভিন্ন অঞ্চলে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৭৪ জন নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য।
একজন স্থানীয় বাসিন্দা আল-জাজিরাকে জানান, "আমরা কোথায় যাব? কোথাও নিরাপদ না। ইসরায়েল যেখানে খুশি সেখানে বোমা ফেলছে।" অন্যদিকে, ইসরায়েলি বাহিনীর দাবি, তারা ‘নির্বাচিত এবং সুনির্দিষ্ট’ অভিযান চালাচ্ছে যাতে বেসামরিক হতাহত কম হয়।