Search

Search

এক্সক্লুসিভ ব্রেকিং নিউজ পেতে আপনার মোবাইল নম্বরটি দিন

চিন্তা করবেন না, আমরা স্প্যাম করি না!

গাজায় খাদ্য সহায়তা বিতরণ কার্যক্রমে বিশৃঙ্খলা, গুলি চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা।

ইসরায়েলি আগ্রসনে প্রায় ১১ সপ্তাহ কোনো ধরণের খাদ্য সামগ্রী ঢুকতে পারেনি গাজায়। দুর্ভিক্ষের মুখে পতিত হয় লাখ লাখ গাজাবাসী। এ অবসথায় প্রায় ৮০ দিন পর পুনরায় খাদ্য সহায়তা চালু হলে ২০ লাখেরও বেশি মানুষ সেখানে জড় হয়।


সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া নানা ভিডিওতে দেখা যায় বহু মানুষ যেখানে ত্রাণ কার্যক্রমের কেন্দ্রের দিকে ছুটে যাচ্ছে। অতিরক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনার কারণে সহায়তা পেতে দেরি হওয়ায় ক্ষুধার্ত গাজাবাসী সহায়তাকেন্দ্রের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করে। মানুষের ঢল সামলাতে না পারলে সেখানে নিরাপত্তা বেড়া ভেঙ্গে যায় ও চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।
এ অবস্থায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ইসরায়েলি সেনারা গুলি চালালে ৩ জন নিহত হন ও আহত হন প্রায় অর্ধশতাধিক। গুলি শুরু হলে ত্রাণ কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
গত মঙ্গলবার গাজায় পুনরায় খাদ্য সহয়াতা দিতে শুরু করেছিলো যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়লে ভিত্তিক সহায়তা সংস্থা গাজা হিউমেনিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ)। এই সংস্থাটির কার্যক্রম নিয়ে নানা বিতর্ক রয়েছে। জাতিসংঘ বলছেন এই সংস্থাটির এতো বিশাল সংখ্যার মানুষকে ত্রাণ প্রদান করার অভিজ্ঞতা ও সক্ষমতা নেই।


অনেকেই মনে করেন, জাতিসংঘের সহায়তাকার্যক্রমগুলকে গাজা থেকে সরিয়ে রাখার জন্য এমন পরিকল্পিত সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা কছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল ভিত্তিক এই সংঘটি। জিএইচএফ কেবল চলতি মাসের প্রথম দিকে আত্মপ্রকাশ করে। ইসরায়েল নিজের হাতে সহায়তা কার্যক্রম তুলে নেয়ার অংশ হিসেবে জাতিসংঘের কাছে এই পরিকল্পনা উপ্সথাপন করে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সহায়তা কার্যক্রম চালানোর জন্য নতুন কোনো কাঠামোর কোনো প্রয়োজন নেই।


সরকারি গণমাধ্যম দ্যা গাজা বলেছে – “আজকের ঘটনা এটিই স্পষ্ট করে যে সহায়তা কার্যক্রমে এই সংকটের পুরোটাই আসলে ইচ্ছাকৃতভাবে তৈরি করা হয়েছে। সীমিত খাদ্য সহায়তা দেয়ার নীতি মূলত খাদ্য সংকট আরও বাড়িয়ে দেয়ার জন্য করা হয়েছে। ”
জিএইচএফ এর বিবৃতি থেকে জানা যায় তারা খুব কেবল ৮০০০ টি খাবারের বাক্স প্রদান করতে সক্ষম হয়েছে যা সাহায্যপ্রার্থীদের মাত্র ২%। সংস্থাটি জানিয়েছে প্রতিদিন সহায়তার পরিমান বাড়ানো হবে।
ত্রাণ সামগ্রী সহজে বন্টন করার লক্ষ্যে জিএইচএফ আরও ৩ টি সহায়তা কেন্দ্র প্রস্তুত করছে যেগুলোর মধ্যে ১ টি মধ্য গাজায় আর ২টি দক্ষিণ গাজায়। উত্তর গাজায় কোনো সহায়তা কেন্দ্র নেই। জাতিসংঘের মতে এটি উত্তর গাজা থেকে গাজাবাসীদের অন্যত্র সরিয়ে দেয়ার একটি কৌশল হতে পারে।
এ পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে আরও ২০ লাখ ফিলিস্তিনিকে উপকূলীয় অঞ্চলের দিকে ঠেলে দেয়া হবে। সেখানে প্রায় প্রতিটি দিকেই তারা ইসরায়লি সেনা দ্বারা পরিবেষ্টিত থাকবে।

সম্পর্কিত খবর :

;