অভয়নগর প্রতিনিধি:
যশোরের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের মৃত আঃ জলিল শেখের ছেলে মোঃ সোলাইমান শেখ(৯৭) এর মহতী উদ্যেগ হাজার মানুষের হৃদয় কেড়েছে। তিনি তার নিজ উদ্যেগে তৈরি করেছেন পাঠাগার, এই পাঠাগারে প্রতিদিন শত শত মানুষ ভিড় করে, বিভিন্ন লেখকের বই পড়ে আনন্দ উপভোগ করেন। ঐ পাঠাগারে সব শ্রেণীর মানুষ বই-পত্রিকাসহ নানামুখি পুস্তক থেকে তথ্য সংগ্রহ করে অভিজ্ঞতা অর্জণ করেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, অভয়নগর মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে অবস্থিত পাঠাগারে ৯৭ বছর বয়সী সোলাইমান বসে আছে পাঠাগারের এক পাশে, তার মুখে যেনো এক আনন্দের হাসি ফুটে আছে এবং মানুষ যে যার মতো বই পড়ছেন।
এব্যাপারে কথা হয় স্থানীয় ৫৫ বছর বয়সী বাবু নামের এক ব্যক্তির সাথে, তিনি বলেন, আমি অবসর সময় পেলে এই পাঠাগারে এসে বই পড়ি এবং অনেক আনন্দ অনুভব করি। এখানে বলে রাখি ওই পাঠাগার তৈরি করার কারণে তিনি ছোট বড় সকলের কাছে নানা নামে পরিচিত, এলাকার সবাই তাকে নানা বলে ডাকে।
পাঠাগারের পরিচালক সোলাইমান শেখ (৯৭) এর সাথে কথা হয়, তিনি জানান, জীবনের শেষ বয়সে এসে মানুষকে একটু আনন্দ এবং বিভিন্ন অভিজ্ঞতা অর্জণের জন্য আমি স্ব-উদ্যেগে এই পাঠাগার করেছি। মানুষ এখানে আসে বই পড়ে, বিভিন্ন মিডিয়ার পত্রিকা পড়ে আনন্দ পায়। জায়গা ছোট হওয়ায় একটু অসুবিধা হয়। মাননীয় প্রধানমন্রী মহোদয় ও সরকার যদি একটু সহযোগিতা করতো তবে পাঠাগার একটু বড় করতে পারলে অভয়নগরবাসী খুবই আনন্দসহকারে বই পড়তে পারত। এখানে বলে রাখা ভালো তিনি অভয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের মহিলা সভানেত্রী ডাঃ সাফিয়া খানমের পিতা। এব্যাপারে কথা হয় ডাঃ সাফিয়া খানমের সাথে, তিনি বলেন, আমার পিতা সোলাইমান যে উদ্যোগ নিয়েছে আমি সাধুবাদ জানাই এবং আমি সব সময় আমার পিতাকে সহযোগিতা করি। ৯৭ বছর বয়সী এই বৃদ্ধার এমন উদ্যোগকে এলাকার অনেকে সাধুবাদ জানিয়েছেন তারা সবাই তার সর্বাধিক সাফল্য ও জানাই ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন।